ইন্সুলিন ছাড়া ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে? - জেনে নিন
প্রিয় পাঠক ডায়াবেটিস কিভাবে সহজে নিয়ন্ত্রণ করবেন সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? ২০২৫ সালের ঘরোয়া ও কার্যকারী ১০টি উপায় সম্পর্কে এখনি জেনে নিন আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে।
সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।
পেজ সুচিপত্র ঃ ইন্সুলিন ছাড়া ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে? - জেনে নিন
ইন্সুলিন ছাড়া ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে? - জেনে নিন
বর্তমানে এমন একটা সময় চলছে যেখানে ডায়াবেটিস মানুষের মধ্যে সাধারণ রোগে
পরিণত হয়েছে। আধুনিক জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের অভাবে অনেকেই অল্প
বয়সেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব তাও
আবার ইনসুলিন ছাড়াই?
আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়, কি খেলে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে সে সম্পর্কে, ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় করার
উপায়, ৭২ ঘন্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়, ঔষধ ছাড়াই ডায়াবেটিকস
কমানোর উপায়, খালি পেটে কিভাবে ডায়াবেটিস কমানো যায় সে সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে। চলুন তাহলে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
ডায়াবেটিকস চিরতরে নিরাময় করার ১০ টি উপায়
চিরতরে ইনসুলিন ছাড়াই ডায়াবেটিকস নিরাময় করার উপায় খুঁজছেন? তাহলে আজকে
রাতে খেলটির সম্পূর্ণ আপনাদের জন্য এখন আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো
ডায়াবেটিকস চিরতরে নিরাময় করার ১০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে -
- প্রথমত আপনাকে অবশ্যই খাবার একদম সময়মতো খেতে হবে অসময়ে খাবার খাওয়া চলবে না।
- ডায়াবেটিস রোগীদের ভাত খাওয়ার পরিমাণ টা কমে দেয়া উচিত এর বিকল্প হিসেবে আপনারা রুটি খেতে পারেন তবে এমন নয় যে আপনারা আপনাদের ইচ্ছা মত রুটি খেয়েই যাবেন, চিকিৎসকের মতামত অনুযায়ী ডায়াবেটিস রোগীদের ২ রুটি খাওয়া উচিত এর থেকে বেশি নয়।
- আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে আপনার শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রনে থাকবে। তবে আপনারা সবজির মধ্যে চেষ্টা করবেন আলু কম খাবার কারণ আলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপদজনক হতে পারে।
- অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন আপনারা যত সম্ভব শাকসবজি এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তোলেন এতে আপনাদের ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং সুস্থ সবল জীবন যাপন পাবেন।
- বিভিন্ন ধরনের কোমল পানি ও বা পাসপোর্ট খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে, চেষ্টা করবেন ফলের রস কিংবা বেশি পরিমাণে পানি পান করার।
- ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অবশ্যই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং ওজনও তাই প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা অভ্যাস গড়ে তুলুন অথবা একটি নির্দিষ্ট সময় বিশেষ করে সকালে ৩০ মিনিট অন্তত হাঁটা চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- ছেলেদের জন্য অবশ্যই যাদের ডায়াবেটিকস আছে তারা সিগারেট খাওয়া অথবা ধূমপান করা থেকে দূরে থাকবেন।
- যখন বেশি ক্ষুধার্ত হবেন তখন পাসপোর্ট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন যেমন চিপস কিংবা ভাজাপোড়া এর বদলে চেষ্টা করুন শসা খাওয়ার কমবে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা একটানা বসে থাকবেন না, অনেক সময় কম্পিউটারে বসে কাজ করতে হয় তো পরিচিতিতে কাজের ফাঁকে একটু উঠে দাঁড়ান হাঁটাচলা করুন অথবা গেম খেলুন।
- আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান এবং ইনসুলিন নিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করতে যান কারণ ইনসুলিন কিন্তু শরীরের ক্ষতি করে তাই ইনসুলিন ছাড়া আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার কার্যকারী উপায় ২০২৫
ডায়াবেটিস রোগটি হচ্ছে এমন একটি রোগ যেটি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অবশ্যই
সুস্থ থাকতে পারবেন আর যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করেন এবং অবহেলা করেন তাহলে
কিন্তু আপনার মৃত্যু হতে পারে তাই ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়ার
কিছুই নাই নিয়ম মেনে চলুন তাহলে দেখবেন কোন ইনসুলিন লাগবে না আপনার ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ করতে এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনিও সুস্থ স্বাভাবিক জীবন
যাপন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে প্রতিদিন নিয়মিত সকাল বেলা ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে
তুলুন, এরপরে সকালে কিছু হালকা নাস্তা গ্রহণ করুন - আজ এমন দুইটা রুটি খেতে
পারেন, ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ খেতে পারেন, এরপর আপনি দুপুরে এক কাপ ভাত
এবং কিছু শাকসবজি খান তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার একদমই
খাওয়া যাবেনা, বিকেলবেলা হালকা নাস্তা হিসেবে কিছু ফলমূল যেগুলোতে গ্লুকোজ
কিংবা সরকারের পরিমাণ কম থাকে অথবা শসা খেতে পারেন, এবং
রাতে ভাত না খেয়ে তার বিকল্প হিসেবে আপনি দুইটা লাল আটার রুটি খান এবং সাথে
কিছুর সবজি রাখুন, নিয়মিত ব্যায়াম করার অফিস গড়ে তুলুন নিজেকে সবসময়
স্বাভাবিক রাখুন এমন মনে করবেন যে আপনার ডায়াবেটিস রোগ হয়নি, এবং নিয়ম
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার তালিকা তৈরি করুন হাঁটাচলা করুন এভাবে আপনি
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।
খালি পেটের ডায়াবেটিস কমানোর উপায় ২০২৫
আপনি যদি খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানতে চান তাহলে আমি আপনাদের সামনে
বেশ কিছু উপায় তুলে ধরব যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে খালি পেটে
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে -
- প্রথমত সব সময় বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন।
- বিভিন্ন ধরনের সবুজ ফল মূল যেমন কাঁচা আম, সবুজ আপেল,পেয়ারা ইত্যাদি সবুজ ও শাকসবজি খাবেন।
- ডায়াবেটিকস রোগীদের ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয় এক্ষেত্রে প্রোটিনের উৎসের জন্য আপনারা বিকল্প হিসেবে বাদাম, অ্যাভোকাডো, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন এটি আপনাদের প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করবে।
- সকালে খালি পেটে যদি আপনারা ভৃঙ্গরাজ এর পাতা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে এটি আপনার শরীরে রক্তচাপ কমাতে সহযোগিতা করবে এবং রক্তে থাকা শর্করা নিয়ন্ত্রণ করবে যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জনক বেশ উপকারী একটি পাতার নাম হচ্ছে কস্টাস ইগনিয়াস এই পাতাটি সারা বিশ্বে ইনসুলিন পাতা অথবা ইনসুলিন প্লান্ট নামেও পরিচিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আপনারা যদি এই পাতাটিকে চিবিয়ে খান এতে আপনাদের রক্তে সরকার আর মাত্র নিয়ন্ত্রণে থাকবে আবার অনেকের ব্লাড সুগারে প্রবলেম থাকে এই পাতা খাওয়ার মাধ্যমে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা
ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য কিছু নিষিদ্ধ খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে আপনার
ডায়াবেটিস হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে, এ সকল খাবার থেকে অবশ্যই আপনাদেরকে বিরত থাকা
উচিত কিন্তু কিভাবে বিরত থাকবেন যদি আপনারা এটাই না জানেন যে কোন খাবার করে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপদজনক? চলুন তাহলে আপনাদের সামনে তুলে ধরি
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে -
নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা |
---|
অতিরিক্ত মিষ্ট |
অতিরিক্ত মাংস |
অতিরিক্ত আলু |
মিষ্টি পানিও ,কোমল পানিও |
বেশি আনারস না খাওয়া |
কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে
বাংলাদেশের বর্তমান সময় ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে কি কি খাবার তাদেরকে এগিয়ে চলতে হবে বিশেষ করে কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়? চলো তাহলে আজকে আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়ে কোন কোন খাবারগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এড়িয়ে চলা খুবই জরুরী -
সর্বপ্রথমে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন অতিরিক্ত জাতীয় খাবার বলতে বাজারে যে মিষ্টিগুলো পাওয়া যায় সেগুলো অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন, অতিরিক্ত পরিমাণে আলু খাওয়া যাবেনা আলু ডায়াবেটিস বাড়াতে সহযোগিতা করে, যে সকল পানীয়র মধ্যে মিষ্টি বেশি থাকে সে সকল কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন এবং চিনি দ্বারা তৈরি শরবত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, অতিরিক্ত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়া যাবেনা ।
এ সকল খাবারগুলো যদি আপনারা এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে খুব সহজে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ডায়াবেটিকস এমন একটি রোগ যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আপনি সুস্থ মানুষের মতোই জীবন যাপন করতে পারবেন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারি খাবার
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা পরামর্শ দেয় যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
লো-গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সযুক্ত খাবার সবচেয়ে উপকারী যেমন: করলা, মেথি,
ওটস, ব্রাউন রাইস, জাম, লেবু, শাকসবজি ও আঁশযুক্ত ফল। এই খাবারগুলো রক্তে
শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না, যার ফলে আপনার ডায়বেটিস একদম নিয়ন্ত্রণে
থাকবে এবং ইনসুলিন ছাড়াই আপনারা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিস হলে সকালে কী খাওয়া উচিত?
আমার মনে হয় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সকালের খাবারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
তবে আপনি যদি ঘরে বসে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই জানা
উচিত সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি অথবা এক টুকরো করলা খাওয়া ডায়াবেটিকস
রোগীদের জন্য ঠিক কতটা উপকারী হতে পারে ।
এর সাথে একটি আপেল বা একটা ডিম ও স্লো-কার্ব ব্রেকফাস্ট নেয়া যেতে পারে। চিনি
ছাড়া দুধ চা খাওয়া নিরাপদ, এভাবে নিজের খাদ্য অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণ করার
মাধ্যমে আপনারা ডায়াবেটিস রোগী হয়েও সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।
ইনসুলিন ছাড়াও ডায়াবেটিস কন্ট্রোল সম্ভব
অনেক পাঠক আমাকে জিজ্ঞাসা করে তাদের জন্য আজকে আমি এই উত্তরটি দিচ্ছি - ইনসুলিন
ছাড়াও কি ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা সম্ভব বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? এরকম অনেকের
মনে প্রশ্ন জাগে হ্যাঁ ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন ছাড়াই শুধুমাত্র সঠিক ডায়েট,
নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ব্লাড সুগার কন্ট্রোল সম্ভব।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই, চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ এবং সঠিক
খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনারা ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কী?
যারা ডায়াবেটিকস রোগী থাকে তারা মনে করে যে প্রাকৃতিক উপায়ে কোনোভাবে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় না কিন্তু এটি আপনাদের একদম ভুল ধারণা মনে
রাখবেন ডায়াবেটিস কিন্তু কোন মরণে না যেটাকে প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা
যায় না-আপনারা প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করে প্রতিদিন করলার রস, মেথি
ভেজানো পানি, নিমপাতা বা জামপাতা খাওয়ার অভ্যাস যদি গড়ে তুলতে পারেন তাহলে
দেখবেন প্রাকৃতিকভাবে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকছে । এছাড়া আমি আমলকি ও
দারুচিনি ব্যবহার করেও ভালো ফল পেয়েছি।
ডায়াবেটিস রোগীরা কোন খাবার এড়াবে?
আপনাদের মধ্যে এমন কিছু ডায়াবেটিকস রোগীরা রয়েছে যারা এখন পর্যন্ত জানেই না
যে তাদের ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কোন কোন খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে
হবে তারা মনে করে এখন সবকিছুুুু খাবো র ইনসুলিন নিবো এইরকম চিন্তাভাবনা
একদমই ভালো না - সাদা ভাত, চিনি, মিষ্টান্ন, সফট ড্রিংকস, ফাস্টফুড, ময়দা ও
ফ্রাই খাবার অবশ্যই আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে এড়ানো উচিত। এগুলো দ্রুত রক্তে
শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে।
হাটাহাটি করলে কি ডায়াবেটিস কমে?
আমার কাছে অনেক পাঠক প্রশ্ন করেছে হাটাহাটি করলে কি ডায়াবেটিস কমে? তার
উত্তর হচ্ছে অবশ্যই। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করে তুললে রক্তে
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য হবে। হাঁটার ফলে ইনসুলিন
সেনসিটিভিটি এবং শরীরের ওজন কমবে, যার ফলে আপনার ডায়াবেটিস টা
নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লেবু ও মধু কীভাবে কাজ করে?
লেবু ও মধু এই দুইটি মিশ্রণ কিভাবে ডায়াবেটিস কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে
কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে সকলের জানা উচিত এবং মধু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য
কতটুকু পরিমাণে খাওয়া উচিত সে সম্পর্কেও জানা উচিত লেবুর রস শরীর ডিটক্সিফাই
করে এবং গ্লুকোজ শোষণ কমায়।
তবে মধু ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সীমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে—শুধু যদি সুগার
ভালোভাবে কন্ট্রোল থাকে। আমার মনে হয় ডায়াবেটিস রোগীদের এই লেবু ও মধু
মিশ্রণটি এড়িয়ে চলাই ভালো যেহেতু মধু আছে আর মধু ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
খাওয়া একদমই উচিত না বলে আমি মনে করি।
রোজা রেখে কি ডায়াবেটিস কমানো যায়?
আপনারা অনেকেই আমার কাছে জানতে চেয়েছেন যে রোজা রেখে কি ডায়াবেটিস কমানো
যায়? পরিচালিত ও পরিকল্পিত উপায়ে রোজা রাখা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
উপকারী হতে পারে। আপনি যদি মনে করেন আপনার শরীর সুস্থ আছে এবং আপনি রোজা
রাখতে পারবেন তাহলে আপনি রোজা রাখুন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখা
উচিত নয়, কারণ এতে করে অনেক সময় শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা একদম কমে আসে যার
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই বিপদজনক।
কোন ঘরোয়া পানীয় ডায়াবেটিস কমাতে সহায়ক?
বিভিন্ন পোস্টে আমি সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি কমন প্রশ্ন লক্ষ্য করেছি সেটি
হচ্ছে কোন ঘরোয়া পানি ও ডায়াবেটিস আমাদের সহযোগিতা করে কিনা সে
সম্পর্কে? জি অবশ্যই এমন কিছু ঘরোয়া পানিও রয়েছে যেগুলো আপনার ডায়াবেটিস
কমাতে অনেকটাই সহযোগিতা করতে পারে যেমন = নিমপাতা ও মেথি ভেজানো পানি, করলার
রস, জাম পাতার রস, আমলকি ভেজানো পানি ইত্যাদি
যদি পান করতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিকস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে আশা করি
আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আর এ সকল পানীয় বা জুস আপনাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো
শুধু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যই নয় বরং সুস্থ থাকতে হলে সকলেরই এসব জুস পান
করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে কার্যকর নিয়ম কী?
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে তো অনেক কার্যকর নিয়ম আছে কিন্তু কয়জন মেনে চলে বলুন
তো? তারপরও আমি আপনাদের সামনে বলে দিব যে কোন গুলোর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের
জন্য আপনাদের সব থেকে কার্যকর নিয়ম হবে চলুন জেনে আসি = নিয়মিত ঘুম,
পরিমিত খাওয়া, ব্যায়াম, মানসিক চাপ কমানো, এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ,এই
৫টি নিয়ম মেনে চলাই
এবং তার সাথে হাঁটাচলা করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা এগুলোকে যদি আপনি মেনে
চলতে পারেন তাহলে আমি বলব আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন কোনদিন
নিতেই হবে না আপনি এগুলো এক মাস মেনে চলে দেখুন আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
থাকবে একাই।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্ন ১: ডায়াবেটিস রোগে ভাত খাওয়া যাবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, তবে পরিমাণমতো ব্রাউন রাইস খাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন ২: ডায়াবেটিস কি পুরোপুরি ভালো হয়?
উত্তর: না, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সঠিক নিয়ম মেনে চললে।
প্রশ্ন ৩: কোন ফল ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী?
উত্তর: আপেল, পেয়ারা, জাম, কমলা ইত্যাদি আঁশযুক্ত ফল উপকারী।
প্রশ্ন ৪: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম সুগার কন্ট্রোল রাখে।
প্রশ্ন ৫: ডায়াবেটিসে কি দুধ খাওয়া যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, কম ফ্যাটযুক্ত দুধ পরিমাণমতো খাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন ৬: করলা কি সত্যিই ডায়াবেটিস কমায়?
উত্তর: হ্যাঁ, করলার রসে ইনসুলিন-জাতীয় উপাদান থাকে যা ব্লাড সুগার কমায়।
প্রশ্ন ৭: রুটি খাওয়া যাবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, আটা বা বার্লি দিয়ে তৈরি রুটি খাওয়া উত্তম।
প্রশ্ন ৮: মধু খেলে কি সমস্যা হয়?
উত্তর: সুগার কন্ট্রোলে থাকলে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন ৯: চা কফি খাওয়া যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, তবে চিনিবিহীন ও সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
প্রশ্ন ১০: ডায়াবেটিসে কত লিটার পানি খাওয়া উচিত?
উত্তর: দিনে অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা ভালো।
আমার মতামত
সম্মানিত পাঠক ডায়াবেটিস একটি আজীবন নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। সঠিক
খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও সচেতন জীবনধারা মেনে চললে আপনি এই রোগকে সহজেই
নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। উপরের প্রতিটি ঘরোয়া নিয়ম অনুসরণ করে নিজের জীবনকে
সুস্থ ও ঝুঁকিমুক্ত রাখুন।
রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url