কম খান? তবুও ওজন বেড়ে যাচ্ছে কেন? জেনে নিন এখনই

কম খাওয়া-দাওয়া করছেন তবুও ওজন বেড়ে যাচ্ছে? জেনে নিন আপনার শরীরের কোন সমস্যার কারণে অথবা পরিবর্তনের কারণে কম খাওয়ার পরও ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে? আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব শরীরের ওজন কেন বৃদ্ধি পায় এবং কম খাওয়া দেওয়ার পরও কেন ওজন বৃদ্ধি পায়? 

weight-loss

কিভাবে আপনারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন, কোন খাবার হল ওজন কমাতে সহযোগিতা করবে, ওজন বেড়ে গেলে শরীরে কি কি সমস্যা হতে পারে, এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন আমার আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে - চলুন তাহলে শুরু করা যাক। 

পেজ সুচিপত্র ঃ কম খান? তবুও ওজন বেড়ে যাচ্ছে কেন? জেনে নিন এখনই  

কম খান? তবুও ওজন বেড়ে যাচ্ছে কেন?

ওজন বেড়ে যাওয়া বর্তমান সময়ে সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা ভাবেন " আপনিতো কম খান তাহলে কেন ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে? এইটা ভাবা একদমই স্বাভাবিক কেননা অনেকেই মনে করে খাবার নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ওজনকে কমানো যায় তবে রহস্যজনকভাবে যদি কখনো খাবার নিয়ন্ত্রণ করার পরেও ওজন বৃদ্ধি হতেই থাকে, খাবার নিয়ন্ত্রণ করেও যদি এই অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকে বেশ কিছু গোপন রহস্যজনক কারণ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আমাদের চোখে ধরা পড়ে না বিশেষ করে ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশি খাওয়া বিষয়টাকে দায়ী করা হয় তবে অনেক সময় দেখা যায় খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না এর জন্য আরও বেশ কিছু বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। তাহলে চলুন আজকে আপনাদেরকে আমি জানিয়ে দেব ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে কি কি গোপন কারণ থাকতে পারে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। 

ওজন বৃদ্ধির পেছনে ১০ টি গোপন কারণ সমূহ  

ওজন বৃদ্ধির পেছনে শুধুমাত্র খাবার বেশি খাওয়া দাড়ি থাকে এমনটা নয় যদি খাবার নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ করা না যায় এ ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং এর পেছনে আরও ১০টি গোপন কারণ থাকতে পারে চলুন তাহলে সেগুলো সম্পর্কে জেনে আসি সংক্ষিপ্তভাবে। - 

 ১. ঘুমের ঘাটে ঘুমের কারণে বিশেষ করে মনে করে অনেক সময় ওজন বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে বর্তমান জেনারেশনের মানুষজন রাত্রেবেলা অনেক দেরি করে ঘুমাই এক্ষেত্রে তাদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার এটা সবথেকে বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাতে যদি ঠিকমতো না ঘুমাই তাহলে খাবার নিয়ন্ত্রণ করেও ওজন ওজন বেড়ে যাওয়া ধরে রাখতে পারবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার পরে কিন্তু দেহে কিছু বিশেষ হরমোনের পরিবর্তন করে বিশেষ হরমোন গুলো আমাদের দেহের ওজন ও খুদা দুটো নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে আপনি অল্প কিছু খেলেও শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি জমা হয় যার কারণে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। 


২. মানসিক চাপ এটি ওজন বৃদ্ধির কিন্তু আরও একটি বড় সমস্যার মধ্যে পড়ে। অনেক মানুষ রয়েছে যাদের মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে প্রচন্ড পরিমাণে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায় আর এই ক্ষুধাভিত্তির কারণে তারা ফাস্টফুড খাওয়া শুরু করে ফাস্টফুটে এত পরিমানে ক্যালরি থাকে যা শরীরের ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 

৩. অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড খাওয়া এত পরিমানে ক্যালরি থাকে যে এগুলো যদি আপনারা অল্প পরিমানেও খান তাহলে কিন্তু যে প্রচুর ক্যালরি যুক্ত হয় আর এর ফলে খুব সহজেই অল্প খাওয়াতে ওজন বৃদ্ধি পায়। পাসপোর্ট এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অতিরিক্ত চিনি, বিভিন্ন ধরনের চর্বি জাতীয় খাবার, আবার কোমল পানীয়, ফাস্টফুড এর মধ্যে সাধারণত পুষ্টি উপাদান কম থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের তেল চর্বিযুক্ত উপাদান বেশি থাকে তাই এগুলো অল্প খেলেও কিন্তু আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। 

৪. আমরা যখন অতিরিক্ত মানসিক সমস্যায় ভুগি বা প্রচন্ড পরিমাণে বিষন্নতা কাজ করে ডিপ্রেশন কাজ করে তখন আমরা সে ডিপ্রেশন কমানোর জন্য ওষুধ খায় এই ওষুধটা কিন্তু আপনাদের দেহের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে কিছুটা দায়ী, যদি থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায়, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে মেয়েদের শরীরের সাধারণত হরমোন জন পরিবর্তনের কারণে ওজন বৃদ্ধি পায় অথবা কমে যেতে পারে তাই মানুষের চাপের ঔষধ খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন, এবং চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক উপায়ে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার।

৫. শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়া বর্তমান সময়ে অনেকেই ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে থাকে বিশেষ করে ঘর থেকে বের হতে চাই না আবার অনেকে অফিসের কাজকর্ম বসে থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে করে তো দীর্ঘ সময় বসে থাকা এবং শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়ার কারণে অনেক তাই যদি আপনাদের কাজ বসে থেকে করতে হয় এক্ষেত্রে আপনারা ব্যায়াম করার অভ্যাস করে তোলেন এতে করে শারীরিক পরিশ্রম বৃদ্ধি পাবে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

৬. শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন কিডনির মা লিভারে যদি পানি জমে যায় এক্ষেত্রে কিন্তু কম খান আর বেশি খান আপনার শরীর মোটা হতে থাকবে তাই যদি খাবার নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার না যায় এক্ষেত্রে আপনারা চেষ্টা করবেন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার শরীরের যদিও পানি জমে যায় তাহলে কিন্তু অনেক বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৭. অল্প খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে আপনি যুক্তি গ্যালারিযুক্ত খাবার অল্প খান এক ক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে শরীর মোটা হতে থাকে বিশেষ করে কাজুবাদাম, আম ভাত এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কেন তারপরও কিন্তু শরীরে মেদ জমা হয় এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।

৮. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় কেননা আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খান এক্ষেত্রে আপনার বিপাক ক্রিয়া অথবা হজম এর প্রক্রিয়াটি ধীর গঠিত হয় যার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়। 

৯. এমন বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলোর পাশে প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরে কিছুটা মেয়েদের জমা হয় আপনি যদি কোন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে সিরাপ কিংবা অন্যান্য ঔষধ খান এ ক্ষেত্রে প্রভাব হিসেবেও হয়তো বা আপনার শরীরে ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে এইটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারনে পরবর্তীতে ওষুধ খাওয়া কমিয়ে দিলেই আপনার ওজন আবার আগের মত ফিরে আসবে।

১০. পারিবারিক কারণে অথবা জিনগত কারণেও অনেক সময় কম খাওয়ার ফলে মানুষজন মোটা হয়ে যায় অনেকের পরিবারে যদি মোটা হওয়ার লোক বেশি থাকে অথবা জিনগত কারণে অল্প খাওয়ার ফলেও আপনি মোটা হয়ে যেতে পারে তাই এ বিষয়ে নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই খাবার নিয়ন্ত্রণ করুন তারপরও শারীরিক ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন এতে করে খুব সহজেই আপনাদের ওজনটিকে আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। 

ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সমাধান কি? জেনে নিন  

ওজন বৃদ্ধি যদি পাই এ নিয়ে চিন্তা করার কোন কারনে এর জন্য রয়েছে সমাধান চলুন আপনাদের জানে যে কিভাবে আপনারা ওজন বৃদ্ধি টাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে - 
  •  ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনাকে আপনার শারীরিক পরিশ্রম বৃদ্ধি করতে হবে আপনি বাসায় সারাদিন বসে থাকলে আবার কম্পিউটারে বসে বসে কাজ করলে যতই কম খান না কেন আপনার ওজন কিন্তু বেড়েই যাবে 
  • এরপর একটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ফাস্টফুড থেকে বিরত থাকতে অথবা অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এগুলো খাওয়ার শরীরের মেদ বাড়িয়ে দেয়  
  • রাতের ঠিকমত ঘুম নিশ্চিত করবেন একজন সাধারণ মানুষের সাধারণত ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয় এইখানে অবশ্যই এই ৮ ঘন্টা ঘুম সম্পূর্ণ করতে হবে। 

এভাবে আপনি খুব সহজে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাওয়াটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এছাড়াও যদি অস্বাভাবিকভাবে হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পায় বা শরীর ফুলে যায় এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ভিজিট করার অনুরোধ রইলো। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url