ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবীদের লোন কিভাবে পাবেন বিস্তারিত জানুন
আপনি কি ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবীদের লোন কিভাবে পাবে এবং ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? ইসলামী ব্যাংকে সরকারি চাকুরিজীবীদের বিভিন্ন ধরনের লোন দিয়ে থাকে। এ সকল বিষয় এবং ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচলা করা হলো।
আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন, কিভাবে ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবীদের লোন কিভাবে পাবে, এবং কি ভাবে খুব সহজে একটি একাউন্ট খুলবে, এর পাশাপাশি একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজপত্র লাগে ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে আলোচলা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবী লোন এবং অন্যান্য বিষয়গুলো জেনে নিই।
পেজ সূচিপত্রঃ ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবীদের লোন কিভাবে পাবেন বিস্তারিত জানুন
ইসলামী ব্যাংক কি কি খাতে লোন পাওয়া যায়
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবীদের লোন বিভিন্ন খাতে পাওয়া প্রদান করে থাকে।
ইসলামী ব্যাংক শরিয়াহ ভিত্তিক লোন দিয়ে থাকে, যেটা সুদমুক্ত হিসাবে পরিচালিত করা
হয়। এরা ইজারা, মুশারাকা, মুরাবাহা এবং মুদারাবা পদ্ধতি অবলম্বন করে লোন প্রদান
করে।
আরো পড়ুনঃ সহজ কিস্তিতে লোন পাওয়ার উপায় ২০২৫
লোন প্রদানে সময় প্রতিটি লোনের পরিমাণ, সময়কাল ও শর্তাবলী নির্ভর করে লোনের ধরন,
গ্রাহকের চাহিদা ও প্রয়োজন এবং ব্যাংকের নির্ধারিত নীতির উপর। নিম্নে আপনাদের
সুবিধার জন্য লোনের বিভিন্ন খাত, লোনের পরিমাণ, লোনের সময় কাল এবং পদ্ধতি
সম্পর্কে তুলে ধরা হলো:
১। ব্যক্তিগত লোন (Personal Loan):
- লোনের নীতি: ইসলামিক নীতি অনুসরণ করে মূলত এই লোনগুলো দেওয়া হয়। নীতিগুলো হলো যেমন মুরাবাহা অথবা তাওয়াররুক।
- লোনের উদ্দেশ্য: বাড়ি নির্মাণ বা বাড়ি ক্রয়, গাড়ি কেনার জন্য, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার এবং নিজের জরুরি প্রয়োজনে যেমন শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি।
- লোনের পরিমাণ: ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক কে ৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে গ্রাহকের আয় ও ব্যাংকের শর্তাবলির উপর নির্ভর করে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- লোনের মেয়াদ: গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা, ব্যাংকের নীতিমালা এবং লোনের পরিমাণের উপর নির্ধারণ করা হয়। তবে সাধারণত ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- লোন গৃহীতার যোগ্যতা: লোনের জন্য সাধারণত ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরা লোনের জন্য আবেদন করতে পারে।
- আর্থিক যোগ্যতা: ইসলামী ব্যাংক লোন প্রদানের পূর্বে আবেদনকারী আয়ের আয়ের উৎস এবং আর্থিক সম্পদ যাচাই বাচাই করে লোন প্রদান করে।
২। বাড়ি ক্রয় অথবা বাড়ি নির্মাণ (Buying or building a house):
- লোনের উদ্দেশ্য: বাড়ি নির্মাণ, বাড়ি ক্রয় অথবা বাড়ি সংস্কার বা সম্প্রসারণ ও পূর্ণনির্মাণ এর জন্য এই লোন দেওয়া হয়।
- লোনের পরিমাণ: গ্রাহকের আয়, যোগ্যতা এবং ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ৫ লক্ষ টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- লোনের মেয়াদ: এই লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১৫ বছর হতে পারে।
- পদ্ধতি: মুরাবাহা মুআজ্জালা-র মতো শরীয়-ভিত্তিক পদ্ধতিতে ঋণের পরিবর্তে বিনিয়োগ করে।
৩। ব্যবসায়িক লোন (Business Loan):
- লোনের উদ্দেশ্য: ব্যবসার জন্য পণ্য ক্রয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোক্তার জন্য বিশেষ বিনিয়োগ স্কিম চালু সুবিধা এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য পুঁজি বিনিয়োগ, সম্পদ বৃদ্ধি ইত্যাদি।
- লোনের পরিমাণ: এই লোনের পরিমাণ সাধারণত ব্যবসার আর্থিক অবস্থা, লোন পরিশোধের সক্ষমতা, বর্তমান ও ভবিষ্যতের আয় সবকিছু বিবেচনা করে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- লোনের মেয়াদ: সাধারণত ১ থেকে ৫ বছর এবং বড় ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৮ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটা ব্যবসার ধরনের উপর নির্ভর করে।
- লোনের পদ্ধতি: তিনটি প্রধান পদ্ধতি ইসলামী ব্যাংক লোন প্রধান করে থাকে যথা মুরাবাহা (পণ্য কেনাবেচা), মুশারাকা (লাভ-ক্ষতি ভিত্তিক অংশীদারত্ব), মুদারাবা (পুঁজি বিনিয়োগ)।
৪। শিক্ষা লোন (Education Loan):
- লোনের উদ্দেশ্য: শিক্ষা উপকরণ যোগাতে এবং উচ্চ শিক্ষার খরচ মেটানোর জন্য লোন দিয়ে থাকে।
- লোনের পরিমাণ: এই লোনের জন্য গ্রাহকের যোগ্যতা ও অন্যান্য শর্তাবলী মেনে ইসলামী ব্যাংকের "স্বপ্নবুনন- শিক্ষা বিনিয়োগ" প্রকল্পের অধীনে সাধারণত ৫০,০০০ হাজার থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- লোনের মেয়াদ: সময় কাল নির্ধারণ করা হয় শিক্ষা কোর্সে উপর তবে সাধারণত ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত।
- লোনের পদ্ধতি: শিক্ষা লোন মুরাবাহা পদ্ধতিতে হয়।
৫। গাড়ী লোন (Car Loan):
- লোনের উদ্দেশ্য: গাড়ী কিনতে একসাথে অনেক টাকা প্রয়োজন। মধ্যেবিত্ত ও অন্যান্য গ্রাহকের চাহিদা মেটানো জন্য এই লোনের ব্যবস্থা করা হয়।
- লোনের পরিমাণ: লোনের পরিমাণ দাঁড়ায় গাড়ী নতুন, রিন্ডিশন্ড অথবা গাড়ীর অবস্থার উপর। অন্য দিকে গ্রাহকের মাসিক আয়, আর্থিক অবস্থা এবং পরবর্তীতে লোন পরিশোধের সক্ষমতা উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে।লোনের মেয়াদ: লোনের মেয়াদ সাধারণত ১ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত হয়। তবে ব্যাংকের নীতিমালা ও গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। ইসলামী ব্যাংকের শাখায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের যোগাযোগ করুন।
- লোনের পদ্ধতি: সুদের পরিবর্তে এখানে মুনাফা বা লাভ হিসাবে ধরা হয় যা "মুরাবাহা" পদ্ধতিতে হয়।
৬। কৃষি লোন (Agricultural Loan):
- লোনের উদ্দেশ্য: কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার, উন্নত বীজ রোপণ, সার, কীটনাশক এবং কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য উন্নত সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য।
- লোনের পরিমানঃ কৃষি লোনের ক্ষেত্রে সাধারণত ১০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- লোনের মেয়াদঃ স্বল্পমেয়াদী কৃষি ও ক্ষুদ্র লোনের জন্য মেয়াদ কম থাকে এবং অন্যান্য কৃষি লোনের মেয়াদ ও গ্রাহকের আর্থিক অবস্থার উপর ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- লোনের পদ্ধতিঃ এই লোনের পদ্ধতি মুদারাবা (বিনিয়োগ) বা মুরাবাহা ভিত্তিক।
ইসলামী ব্যাংকে লোন পাওয়ার শর্তাবলী সমূহ
আমরা জানি ইসলামী ব্যাংক সুদমুক্ত (শরীয়াহ-ভিত্তিক) লোন প্রদান করে থাকে। এই
লোন পাওয়ায় জন্য কিছু শর্তাবলী মেনে চলতে হবে। এই শর্তাবলী সমূহ মেনে আপনি
খুব সহজে ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারেন। তবে লোনের উপর নির্ভর করে
শর্তাবলী ভিন্ন ধরনের হতে পারে।
ইসলামী ব্যাংকের লোনের শর্তাবলী অন্যান্য ব্যাংক থেকে কিছুটা আলাদা হতে পারে,
তার জন্য আবেদন করার আগে ব্যাংকের লোনের নীতিমালা ভালোভাবে জেনে নেওয়া সবার
প্রয়োজন। তাই চলুন ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবী লোন পাওয়ার শর্তাবলী বিষয়
গুলো জেনে নিই-
- বয়স ও নাগরিকত্ব: আপনার বয়স নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে হতে হবে যেমন (১৮-৬৫) বছর এবং বাংলাদেশী একজন সাধারণ নাগরিক হতে হবে।
- ইনকামের উৎস: লোন আবেদনের জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ ইনকামের উৎস দেখাতে হবে, হতে পারে চাকুরীর বেতন অথবা ব্যবসা-বাণিজ্য।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: লোন আবেদনের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে, যেমন পরিচয়পত্র, ছবি, ইনকামের উৎসের কাগজ ও অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ।
- লোন পরিশোধের যোগ্যতা: ব্যাংক আপনার আর্থিক সক্ষমতা যাচাই-বাচাই করে দেখবে লোন পরিশোধের ক্ষমতা আছে কি না।
- সম্পত্তি জামানত: আপনার লোনের পরিমাণ এবং ধরনের উপর নির্ভর করে সম্পত্তি জামানতের প্রয়োজন হতে পারে।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কত টাকা লাগে?
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবী লোন নেওয়ার আগে ব্যাংকে একটা একাউন্ট খোলা
লাগবে। ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে ন্যূনতম ডিপোজিট ফি প্রদান
করতে হবে যেমন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা লাগবে। এই ডিপোজিট টাকা উত্তোলন করতে পারবেন
না। অন্য দিকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে মাত্র ১০০ টাকা লাগবে।
- স্টুডেন্ট হিসাবের জন্য ১০০ টাকা জমা দিয়ে একাউন্ট খোলা যায়।
- সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য ২,০০০ টাকা জমা দিয়ে একাউন্ট খোলা যায়।
- চলতি হিসাবের জন্য ৫,০০০ টাকা জমা দিয়ে একাউন্ট খোলা যায়।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র লাগবে। যা
আপনার সঠিক পরিচয় জানার জন্য প্রয়োজন। সঠিক কাগজপত্র প্রদানের মাধ্যমে আপনার
একাউন্ট খুব সহজে খুলতে পারেন এবং ব্যাংক আপনার সম্পর্কে কোন কিছু জানতে এই
কাগজপত্রের দরকার হয়।
তাই নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা দিয়ে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা প্রয়োজন। চলুন
সেসব কাগজপত্র গুলো জেনে নিই-
- নির্দিষ্ট আবেদন ফরম: ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংক থেকে ফরম সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য প্রদান করে পূরণ করতে হবে।
- আবেদনকারীর সত্যায়িত ছবি: একাউন্ট খোলার জন্য আবেদনকারী ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি এবং পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র: আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রদত্ত হতে নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত করা ফটোকপি লাগবে।
- নমিনির পরিচয়পত্র ও ছবি: হিসাধারীর যাহাকে নমিনি হিসাবে যুক্ত করবে তার ১ কপি রঙ্গিন ছবি পাসপোর্ট সাইজের এবং হিসাবধারী কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।
- প্রাথমিক জমার পরিমাণ: ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রাথমিক টাকা জমা প্রদান করতে হবে, যেমন সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য ২,০০০ টাকা ও চলতি হিসাবের জন্য ৫,০০০ টাকা এবং স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে খুলতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া বা ডকুমেন্টস
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবীদের লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই একাউন্ট খোলা
লাগবে। আমরা অনেকেই জানি না ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন
হয়। এজন্য ব্যাংকে গিয়ে অনেক ঝামেলা মধ্যে পড়তে হয়। তাই একাউন্ট খোলা সম্পর্কে
কিছু ধারণা জেনে নিই-
- আবেদনকারীর ব্যক্তিগত সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে, এজন্য তার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি। এর সাথে পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙ্গিন ছবি লাগবে।
- একাউন্ট খোলার সময় আবেদনকারী যাহাকে নমিনি রাখবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি। এর সাথে পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি রঙ্গিন ছবি লাগবে।
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংকের নিদির্ষ্ট ফরম সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। পরবর্তীতে যেকোন সমস্যা পড়লে যেন আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করা যায়।
- প্রথম অবস্থায় একাউন্ট খোলার সময় ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী কিছু টাকা জমা দেওয়া লাগে। জমা দেওয়ার টাকার পরিমাণ ব্যাংকের নির্দিষ্ট নিয়মের উপর ভীত্তি করে।
একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সমূহ:
- ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংকের শাখায় যাওয়া লাগবে অথবা অনলাইনে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করুন।
- এছাড়া মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে একাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে, যেমন সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে একাউন্ট খোলা যায়।
- একাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংকের নির্দিষ্ট হিসাবের আবেদনপত্র রয়েছে তা সঠিক এবং সাবধানে পূরণ করতে হবে।
- এর পরে আবেদনকারীর ছবি এবং নমিমির ছবি যুক্ত করতে হবে, তার পরে (NID) এর কপি স্বাক্ষর করে ফরমের সাথে যুক্ত করতে হবে।
- আবেদনকারীকে একাউন্ট খোলার জন্য ন্যূনতম টাকা জমা প্রদান করতে হবে।
- এসব কিছু প্রদান করার পর ব্যাংক আপনার তথ্য যাচাই-বাচাই করে দেখবে এর পরে কেওয়াইসি (KYC) যে প্রক্রিয়া আছে তা সম্পন্ন করবে।
- আবেদনকারীর কেওয়াইসি (KYC) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে একাউন্ট চালু হবে।
লেখকের মন্তব্য
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবী লোন বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক নিতে
আগ্রহী। তাই খবু সহজ ভাবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে উল্লেখিত নিয়ম, যোগ্যতা, এবং
লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকুরিজীবী লোনের আবেদন করার আগে অবশ্যই নিজের আয়, লোন
পরিশোধের সক্ষমতা এবং সর্বশেষ ব্যাংকের মুনাফার হার সঠিকভাবে যাচাই-বাচাই করে
আবেদন করা জরুরি। ইসলামী ব্যাংকের প্রত্যেক শাখায় নিজস্ব কিছু নিয়মনীতি থাকেতে
পারে। তাই ব্যাংকের শাখায় গিয়ে আপডেট সব তথ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সবচেয়ে
বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ধন্যবাদ



রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url